দেশের এমন কোনো এলাকা নেই, যেখানে দরিদ্র পরিবার নেই। অনেক দরিদ্র পরিবার আছে যাদের মানুষের কাছে হাত পাততে লজ্জা লাগে। এমন গরিব পরিবারকে খুঁজে বের করে সহায়তা করেন একদল তরুণ। শুধু খাদ্যসামগ্রী দিয়েই নয়, নানাভাবে তাঁরা মানুষকে সহায়তা করেন। যাঁরা টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারেন না, তাঁদের যেমন সহায়তা করা হয়, তেমনি যেসব দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থী টাকার অভাবে পড়াশোনা করতে পারেন না, তাঁদেরও সহায়তা করা হয়।
এই মানবদরদি তরুণদের বাড়ি মৌলভীবাজারে। বেশির ভাগই বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। পড়াশোনা নিয়েই তাঁদের সময় কাটে। তাঁদের পরিবারও মোটামুটি সচ্ছল। কিন্তু এলাকার দারিদ্র্যপীড়িত মানুষের অসহায় মুখ তাঁদের চোখ এড়ায় না। তাঁদের ব্যথিত করে। সময় পেলেই তাঁরা অভাবী মানুষকে নানা ধরনের সেবার কাজ শুরু করেন। এসব কাজই সহজ ও পরিকল্পিতভাবে করার জন্য তাঁরা গড়ে তুলেছেন বন্ধন সমাজকল্যাণ সংস্থা নামের একটি সংগঠন। এই সংগঠনের মাধ্যমে শুভান্যুধায়ীদের সহযোগিতা নিয়ে তাঁরা চেষ্টা করছেন হতদরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ানোর। সংগঠনটির কার্যালয় মৌলভীবাজার সদর উপজেলার আপার কাগাবলা ইউনিয়নে।
বন্ধন সমাজকল্যাণ সংস্থার পক্ষ থেকে গত শনিবার আপার কাগাবলা ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের ২০০ দরিদ্র পরিবারের ঘরে ঘরে গিয়ে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। সকাল থেকে এই বিতরণ শুরু করেন তাঁরা। শেষ হয়েছে রাতে। তাঁরা প্রত্যেক পরিবারকে ২ লিটার সোয়াবিন তেল, ২ কেজি আলু, ২ কেজি পেঁয়াজ, ২ কেজি ময়দা, ১ কেজি ছোলা, ১ কেজি চিনি, খেজুর ও ১ কেজি লবণ দিয়েছেন।
এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন আপার কাগাবলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ইমন মোস্তফা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ওই ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আজির উদ্দিন, ইউপি সদস্য দেলোয়ার হোসেন, ইউপি সদস্য আব্দুর রকিব, কাগাবলা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল হক, বন্ধন সমাজকল্যাণ সংস্থার কার্যকরী কমিটির সদস্য ফয়েজ আহমদ, সভাপতি সাকিবুর রহমান মেরাজ, সাধারণ সম্পাদক আকমল হোসেন প্রমুখ।
২৪ ও ২৫ এপ্রিল দেশের স্থানীয়ওে জাতীয় পত্রিকায় ছেপেছে সেই- মনবদরদিদের সংস্থার সংবাদ–